চতুর্দশ ভূত
-মানিক দাক্ষিত
মা চামুণ্ডা কালীরূপে এলেন ধরাধামে,
সাথে এলো চোদ্দটা ভূত পিছে ডানে বামে।
ভূতেরা সব বেজায় খুশী মায়ের সাথে এসে,
তিড়িং বিড়িং নাচ জুড়েছে হরেক রকম বেশে
বেহ্মদত্যি পৈতে গলায় সাদা কাপড় পরে,
বসলো সোজা বেলগাছে ঐ মগডালেতে চড়ে।
বধূবেশে ঘোমটা দিয়ে শেওড়া গাছের ডালে,
শাকচুন্নি গান জুড়েছে খেমটা নাচের তালে।
পেত্নি বসে ভূতের সাথে কদমগাছের নীচে,
বরফ গলা জলটা খেয়ে সর্দি লেগে হাঁচে।
মেছো গেছো দুই ভূতেতে বড় দীঘির ঘাটে,
মাছের লোভে বসে আছে সময় নাহি কাটে।
মামদো ভূতের পা দুটো নাই হাওয়ায় ভেসে ভেসে,
টুপি মাথায় দাড়ি মুখে যাচ্ছে শুধুই হেসে।
কন্দ কাটা রাত দুপুরে বরের বেশে সেজে,
হন্যে হয়ে রেললাইনে নিজের মাথা খোঁজে।
ভূতের কথা শুনবে শোনো ভয় রেখো না পুষে,
চোদ্দো পুরুষ পঞ্চভূতে সবাই আছে মিশে।
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় আলাপী মনের
প্রিয় সম্পাদকদ্বকে। আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।